এক হাজার টাকার জন্য ৪ বছরের শিশুকে অপহরণ!

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে পোশাককর্মী দম্পতির চার বছর বয়সী মার্জিয়া নামে এক শিশু কন্যা অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জ আমতলা এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি থেকে অপহরণের ৩ দিনপর বুধবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন শিশুর বাবা গোলাম মাওলা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ আমতলা এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে গোলাম মাওলা ও তার স্ত্রী ইতি বেগম ভাড়ায় থেকে স্থানীয় গার্মেন্টে কাজ করেন। তাদের মার্জিয়া (৪) ও মারজান (৩) নামে দুইটি শিশু কন্যা রয়েছে। ফতুল্লায় তাদের নিয়ে গার্মেন্টে কাজ করতে সমস্যা হওয়ায় গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার সাহেবের হাট থানার চর আইচা গ্রামে বড় বোন মায়া ও তার স্বামী চান ফকির ওরফে চান্দুর কাছে মাসে খাবার খরচ দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে দুই কন্যাকে ৪ মাস পূর্বে রেখে আসে গোলাম মাওলা। এরমধ্যে ৭ হাজার টাকা দিয়েছে গোলাম মাওলা বাকী ১ হাজার টাকার জন্য ১৪ জুন ভোরে দুই মেয়েকে নিয়ে ফতুল্লায় তার বাবা মায়ের বাসায় আসে চান্দু ফকির। সঙ্গে রাকিব (১৮) নামে আরো একজন পঙ্গু যুবককে নিয়ে আসে চান্দু ফকির। ওই যুবকের বিষয়ে গোলাম মাওলা তার বোন জামাতা চান্দু ফকিরকে জিজ্ঞেস করলে সে তার মামাতো ভাই বলে পরিচয় দেন।
পরের দিন ভোরে গোলাম মাওলা ও তার স্ত্রী ইতি বেগম গার্মেন্টে কাজে যাওয়ার সময় চান্দু ফকিরকে বলেন দুপুরে কাজ থেকে ফিরে গ্রামে যাওয়ার ভাড়া ও মেয়েদের খাবারের বাকি এক হাজার টাকা দিবেন। দুপুরে স্বামী স্ত্রী কাজ থেকে ফিরে বাসায় এসে দেখেন চান্দু মিয়া ও ছোট মেয়ে মারজান ঘুমিয়ে আছে। বড় মেয়ে মার্জিয়া ও পঙ্গু যুবক রাকিব বাসায় নেই। এ সময় বোন জামাতা চান্দু ফকিরকে জিজ্ঞেস করলে সে একেক সময় একেক কথা বলে একপর্যায়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রামের বাড়িসহ নানা স্থানে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

গোলাম মাওলা এর সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, মার্জিয়াকে না পেয়ে তার মা ইতি বেগম পাগলের মতো বিলাপ করছে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না চান্দু ফকির অল্প কিছু টাকার জন্য আমার শিশু কন্যাকে অপহরণ করবে। তাদের বাড়িতে যখন ছিল তখনই সে অপহরণ করতে পারতো। আমি চান্দু ফকির ও তার সহযোগীর গ্রেপ্তার দাবী জানাই এবং আমার শিশু কন্যাকে উদ্ধার চাই।

অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। তবে চেষ্টা করছি চান্দু ফকির ও তার সহযোগী রাকিবের সন্ধান বের করতে। আশা করি দ্রুত তাদের সন্ধান পাবো।