কক্সবাজার-রামু পল্লীবিদ্যুৎঃ গ্রাহকভোগান্তি ভুতুড়ে বিলে শুভঙ্করের ফাঁকি !

প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

গ্রাহক হয়রানি, মিটার-বাণিজ্য, দালালদৌরাত্ম এসব ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের পুরাতন চরিত্র। করোনা কালে করোনাভাইরাসের মত পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের ঘরেঘরে সংক্রমণ ঘটিয়েছে নতুন এক উপসর্গ। কেউ বলে মনগড়া বিল, কেউ অনুমাণনির্ভর বিল, কেউ কেউ বলছে অতিরিক্ত বিল, কেউ বলছে ভুতুড়ে বিল আবার কেউ বলছে রক্তশোষণ।

ভৌতিক কিংবা আধিভৌতিক চরিত্রগত উপসর্গ যাই হোক এই বিলসংক্রমণে বিক্ষুব্ধ পল্লীবিদ্যুতের সাধারণগ্রাহক।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত লকডাউন (অচলাবস্থা)’র কারণে মিটার রিডাররা ঘরেঘরে গিয়ে মিটার রিডিং নেয়ার পরিবর্তে পূর্ববর্তী মাসের বিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিল অনুমাণনির্ভর প্রস্তুত করতে গিয়ে এই ভুতুড়ে অবস্থার অবতারণা করেছে ।
কিন্তু গ্রাহকরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ লকডাউ ( অচলাবস্থা) এর সুযোগ নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছে। গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে করোনাকালের ফায়দা নিয়ে তারা একপ্রকার লুঠতরাজ চালাচ্ছে ।

যা ভোক্তা অধিকার আইন এবং পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকপরিষেবা নীতিমালার পরিপন্থী।
একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পল্লীবিদ্যুতের এই ধরণের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ও বালখিল্য আচরণ গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা বা শঠতার শামিল। যা তাদের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বাস ও আস্থাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। যে কারণে সাধারণগ্রাহকদের অনুযোগ, অভিযোগ,ক্ষোভ ও নিন্দা দিনে দিনে বিস্ফোরণ্মুখ হয়ে উঠছে।
সমিরা আক্তার নামে ঈদগাঁওবাজার এলাকার একজন গ্রাহক ( গ্রাহক নম্বর- ১০৪-৩২৪৯) বলেন, তার মার্চ মাসের বিদ্যুৎবিল ৩৪৩ টাকা ( বিলম্ব মাশুলসমেত) ও এপ্রিল মাসের ৫৪৪ টাকা( বিলম্ব মাশুল সমেত) ২মাসের সংযুক্ত বিল ৯২৫ টাকা পরিশোধ করা হলেও পরের মাস অর্থাৎ মে মাসের বিল ১৫৩৯ টাকা ( বিলম্ব মাশুল সমেত)’সহ পূর্বঅনাদায়ী হিসেবে ৯১০ টাকা সংযুক্ত করে সর্বসাকুল্যে অনাদায়ী বিল করা হয়েছে ২৬১৩ টাকা।
এই বিলকে গ্রাহক ভৌতিক বিল বলবো নাকি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের জালিয়াতি বা লূঠতরাজ বলবো ওই গ্রাহকের। প্রশ্ন ?
ওই বিদ্যুৎগ্রাহক আরো বলেন, ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিলকাণ্ড নতুন নয়, এটা তাদের বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । বিশেষ করে বিলপ্রস্তুতকারী মিসেস গীতার গাঁজাখোরি কাণ্ডে গ্রাহকসমাজ বিব্রত ও সংক্ষুব্ধ।
তার ( সমিরা আক্তার) দাবি, রিডিং না দেখে পূর্ববর্তী মাসের বিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিল প্রস্তুত করা হলে এত অসামঞ্জস্য কিসের? সাধারণ গ্রাহকের উপর এই বাড়তি ভুতুড়ে বিল চাপিয়ে সংশোধন করার কোন সুযোগ না দিয়ে বিলআদায়ে এত হম্বিতম্ব কেন?
গৃহকত্রী সমিরার অভিযোগের প্রতিধ্বনি শতশত বিদ্যুৎগ্রাহকের। কিন্তু তাদের সকলেই এই অতিরিক্ত বিলের চাপে দিশেহারা। অনেকে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঈদগাঁও জোনাল অফিসে দৌঁড়ঝাঁপ, চেষ্টাতদবীর করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। পল্লীবিদ্যুতের ঈদগাঁও জোলান অফিসের সর্বসাম্প্রতিক ওই ভুতুড়ে বিলকাণ্ড এবং বিগত দিনের অপকাণ্ড নিয়ে গ্রাহকসমাজে ক্ষোভ যেমন বাড়ছে তেমনি প্রতিদিন বাড়ছে গ্রাহক ভোগান্তির নতুন নতুন অধ্যায়।

ইতোমধ্যে ঈদগাঁহ পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইনমাধ্যমে ও মুলধারার গণমাধ্যমে গ্রাহকসমাজের বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ধবলধোলাই আলোড়ন তুলেছে।

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা শারমীন সুলতান রুহীর অভি্যোগঃ আমার ৩ মাসের বিল একসাথে পরিশোধ করি ইউনিয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে। যেহেতু আমার দিতে লেট( বিলম্ব) হয়েছে, সেহেতু পরবর্তী মাসের বিল অলরেডি ( যথারীতি) আবার হাতে পাই। ব্যাংক যেহেতু তাদের বিল কালেকশানের মিডিয়া পার্টনার, সেহেতু ব্যাংক তার আদায়কৃত টোটাল বিল সপ্তাহে একদিন বিদ্যুৎ অফিসে পাঠিয়ে দেয়, সেহেতু আমার পরিশোধিত বিলের হিসেবটি পেতে দেরী হওয়ায় পরবর্তী মাসের বিলের সাথে সেটা যোগ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে যা হলো, অনাদায়ী দেখানো হলো ৬৯০ টাকা আর নতুন মাসে ৯২০ টাকা তাহলে টোটাল দাঁড়ায় ১৬১০ টাকা কিন্তু তারা দেখিয়েছে ২৩১০ টাকা পূর্ববর্তী বিল ছিল ২১৬০টাকা কিন্তু সেটা কোথাও দেখানো হয়নি। মাস হিসাবেও ভুল গাণিতিক হিসাবেও ভুল।
আমি নিজে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ঠিক করে নেই, আর তারা বলে এটা এ মাসে অনেক গ্রাহকের হয়েছে। তারা (বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ) কাজটি আমাকে করে দেয়। কিন্তু সব মানুষের অফিসে গিয়ে এটা ঠিক করা এই মহামারিতে ঝুঁকি আর সময় সাপেক্ষ। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের কাছে আরো দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি।

ইয়াসীর আরাফাত টূটূল নামে একজন গ্রাহক বলেন,
ঈদগাঁও পল্লীবিদ‍্যুৎ অফিসে গিয়ে আমি অভিভূত। কি গ্রাহকসেবা, আহা! আমার মার্চ মাসের বিল এপ্রিল ও মে মাসের বিলের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে,মানে মার্চ মাসের বিল ২বার তোলা হয়েছে।পল্লীবিদ‍্যুৎ অফিস থেকে যিনি বিল দিতে এসেছিলেন কি মধুর কথা,আমাকে বললেন, আপনি অফিসে আসেন আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আপনার বিল ঠিক করে দেব।আমি ও সাহস করে বিদ‍্যুৎ অফিসে যথাসময়ে গেলাম।কিন্তুু অফিসের বিদ‍্যুৎকর্মী সেই ভাইটিকে ফোন দিলাম। না তিনি ফোন উঠালেন না। আমিও বিচলিত হইনি বরং আমি অবাক হতাম যদি তিনি ফোন রিসিভ করতেন। এই টেবিল ওই টেবিল করে আমি বিল পরিশোধ করে চলে আসি।

পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক গিয়াসুদ্দিন বাবুল বলেন, এরিয়া অফিসে ২ জন হিন্দু মহিলা বিল প্রস্তুত করেন। এদের সাথে কোন কথাই বলা যায়না। তারা মনে করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বড় অফিসার। আমি মনে করি পল্লিবিদ্যুতের সবাই মানুষ নামের ডাকাত! এদের ভালভাবে পানিশমেন্ট দেওয়া দরকার।

মোবিনুল মুবিন নামে একজন গ্রাহক বলেন, নিয়মিত বিল থেকে গত-মাসের বিলটা দ্বিগুন।

গ্রাহক নূরুল আমিন বলেন, গত মাসে এক সাথে ২মাসে বিল একসাথে দিয়ে দিয়েছি, এই দেখি বকেয়া’সহ লিখে মনগড়া বিল করে দিয়েছি,,এর কি প্রতিকার আছে? বিল করে দিয়েছে তিন গুণ? এরা অফিস বসে মনগড়া বিল করে পাবলিকের রক্তশোষণ করছে।

বেলাল হোসেন নামের অপর এক গ্রাহক বলেন, মনগড়া বিল গত মাসে দিলাম ১৬৫ টাকা আর
এই মাসের বিল ৬১২টাকা।

বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শামসুল হুদা বলেন, মিটার না দেখে বিল দিচ্ছে। আমাদের হাফেজখানা গত ৩ মাস সাধারণ ছুটিতে বন্ধ আছে। অথচ প্রতি মাসে ৭০০টাকার মত বিল দিচ্ছে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আবুল কালাম বলেন, এপ্রিল মাসের বিল দিয়ে দিয়েছি কিন্তু মে মাসের বিল এর সাথে আবার সংযুক্ত করা হয়েছে। অফিসে যারা কর্মরত আছে এদের মন যা চায় তাই করে। সাধারণগ্রাহক সবাই কোন না কোনভাবে হয়রানির শিকার। ডিজিএমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতা শাহিন জাহান চৌধুরী জানান, আমি গত ২মাসের বিল পেলাম যাতে কোন রিডিং উল্লেখ নাই অর্থাৎ পূর্ববর্তী রিডিং এবং বর্তমান রিডিং উল্লেখ না করে বিল বানানো হয়েছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।আর এই পরিস্থিতিতে অফিসে গিয়ে বিল সংশোধন করাও ঝামেলার কাজ এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচুর লিখালিখি হচ্ছে তবুও এদের কোন সদিচ্ছার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকপক্ষ থেকে যৌক্তিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের গ্রাহক মুহাম্মদ ইয়াসিন ফয়সাল জানান, ঈদগড় ইউনিয়নে ইউনিট না দেখে আন্দাজে বিল তৈরি করে দিয়েছে। ফলে অতিরিক্ত বিল দিয়ে জনগণকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে।

তরুণ আইনজীবি ও গ্রেটার ঈদগাঁও গ্রাজুয়েটস এসোসিয়েশনের মুখপাত্র এড. জুলকর নাইন জিল্লু বলেন, পল্লীবিদ্যুতের পুরো সিস্টেমটাই ভুল। দেশ এগিয়ে গেলেও এরা এগুতে পারেনি। সেই সনাতনী বিলিং সিস্টেমটা ধরে রেখেছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার। সময়ের সাথে সাথে গ্রাহকরা এডভান্সড হয়েছে। কিন্তু পল্লীবিদ্যুতের এডমিন সেই তালে। চলতে পারেনি। এরা ব্যাকডেটেড থেকে গেছে। গ্রাহকদের সাথে তাল মিলিয়ে পল্লীবিদ্যুতকে চলতে হবে। না পারলে হোঁচট খাবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ডিজিটাল বিলিং মেশিন ব্যবহার হচ্ছে। মিটার থেকে মেশিনের মাধ্যমে রিডিং নিয়ে সাথে বিলের ইনভয়েস প্রিন্ট হয়ে গ্রাহকের হাতে চলে যাচ্ছে। এতে ভুলের কোন সুযোগ নেই। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিস্টেম ডেভেলপ করলে উভয়ের মঙ্গল।

পল্লীবিদ্যুতের অনাবশ্যকীয় লোডশেডিং বিষয়ে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক বলেন, ঈদগাঁও বাজার কক্সবাজার জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপ-শহর হলেও বিদ্যুৎ’সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত । বাজারের জন্য আলাদা কোন ফিডার নেই। গোমাতলী কিংবা কাউয়ারদিয়া জন্য যে ফীডার, ঈদগাঁও বাজারও একই ফীডারে চলে। ফলে আকাশে একচিলতে মেঘ কিংবা একটু মৃদুমন্দ বাতাস হলেই বিদ্যুৎ নাই হয়ে যায়।
এই অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বাণিজ্যিক উপ-শহর হিসেবে অগ্রাধিকার না পাই অন্তত স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহটা নিরবিচ্ছিন্ন হলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারে। প্রয়োজনে ঈদগাঁও বাজারের জন্য আলাদা ফীডারের ব্যবস্থা করে ঘনঘন ও অনাবশ্যক বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে মুক্তি দিন।

কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, ঈদগাঁও জোনের পরিচালক ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা আমজাদ হোসেন (ছোটনরাজা)কে গ্রাহক হয়রানি ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যে নয়। লকডাউনের সীমাবদ্ধতার কারণে এটি সৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। বিলের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে সংশোধন করে ভোগান্তি লাঘবে ব্যবস্থাগ্রহণ করছি।

পল্লীবিদ্যুতের ঈদগাঁহ জোনাল অফিসের এজিএম শহীদুল ইসলাম ত্রুটিপূর্ণ ও অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লকডাউনে সরকারী নির্দেশনা মেনে পল্লীবিদ্যুৎকে কাজ করতে হয়েছে। বিল রিডারদের কেউ ঘরে ঘরে যেতে পারেনি, তাই বিল সমন্বয় করতে গিয়ে কিছু অসামঞ্জস্য বা অসঙ্গতি থেকে গেছে। এই ত্রুটিগুলো আমরা দ্রুত সংশোধন করে দিচ্ছি। তবে এটাও গ্রাহককে জেনে রাখতে হবে যে, সরকার মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎবিল বৃদ্ধি করেছে। এই বাড়তি বিলও গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে। একারণে বিলের পরিমাণটাও ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত মনে হতে পারে।
ঈদগাঁহবাজারের জন্য পৃথক ফীডার স্থাপনের বিষয়ে তিনি জানান, ঈদগাঁহবাজারের জন্য আলাদা ফীডার স্থাপনের জন্য টেণ্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, লোডশেডিং কমানো এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করতে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কোটি টাকা ব্যয়ে ঈদগাঁহ সাব স্টেশনের সক্ষমতাবৃদ্ধি ও পুরাতন সঞ্চালন লাইন পাল্টে নতুন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবা কিছুটা বাড়লেও কাংখিত মানে পৌঁছাতে পারেনি।থেকে গেছে সেই পুরানা ব্যাধি অনাবশ্যক লোডশেডিং, গ্রাহকভোগান্তি,দালাল দৌরাত্ম, মিটারবাণিজ্য কিংবা অতিরিক্ত বিলের আদায়ের বদখাসলৎ।
এই সকল অনিয়ম ও গ্রাহকভোগান্তি বন্ধে বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপঃ
১। কয়েক মাসের ইউনিট একত্র করে একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল না করা;
২। মাসভিত্তিক পৃথক পৃথক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা;
৩। একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল করে উচ্চ ট্যারিফ চার্জ না করা;
৪। ত্রুটিপূর্ণ বা অতিরিক্ত বিল দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করা;
৫। মে ২০২০ মাসের বিদ্যুৎ বিল (যা জুন মাসে তৈরি হচ্ছে) মিটার দেখে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা এবং মোবাইল, বিকাশ, জি-পে, রবিক্যাশ, অনলাইনে ঘরে বসে বিদ্যুৎবিল পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি।

যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে গ্রাহকভোগান্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির প্রতি সাধারণগ্রাহকের বিদ্যমান আস্থার সংকট অনেকটা কেটে যাবে বলে ধারণা করছেন সচেতনগ্রাহক ও জ্বালানী বিশেষজ্ঞগণ।