টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত ২৬/০৭/২০১৯ সাল থেকে কারাগারে আছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৯ নং তালিকা ভুক্ত ছিলেন, টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের পুত্র ইউপি চেয়ারম্যান শাহজান মিয়া।
গত ২৬ জুলাই ২০১৯ শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় তার নাম থাকার কারণে প্রাণ হারানোর ভয়ে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন তিনি । তাই গত ২৬ জুলাই ২০১৯ বেনাপেল সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পালানোর শত চেষ্টা করলে ও আইনশৃঙখলা বাহিনী সব সীমান্তের মধ্যে পাহারা দেওয়ার ক্ষেত্রে সজাগ ছিলেন । তাই তিনি পালানোর সময় আটক হয়েছিলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করার পর কক্সবাজার জেলা পুলিশকে অবগত করেছিলেন । তারপর কক্সবাজার জেলার পুলিশের সহায়তার মাধ্যমে টেকনাফ থানা পুলিশ তাকে ফেরত নিয়ে আসে যশোর বেনাপেল থেকে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৯ জুলাই ২০১৯ রবিবার বিকালে পুলিশের একটি দল উত্তর লেঙ্গুবিল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিলেন।
অভিযানের পর তার বাড়ির জেনারেটর রুমে বিশেষ কৌশলে রাখা বস্তার ভিতর ৫০ হাজার ইয়াবা, ৪ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র(এলজি) ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিলেন।
পরবর্তী তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ তিনি কারাগারে ৯-১০ মাস আছেন, তবুও সরকার কতৃক দীর্ঘদিন যাবৎ ইউপি সদস্য পদটি প্যানেল চেয়ারম্যান দ্বারা সচল রেখে যাচ্ছেন। তাই এতদিন তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়নি।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রের টেকনাফ থানায় দায়ের কৃত ফৌজদারি মামলা নং ৯৩ তারিখ ২৮/০৭/২০১৯ ইংরেজী এবং মামলা নং ৯৪ তারিখ ২৮/০৭/২০১৯ এর অভিযোগ পত্র বিজ্ঞ আদলত কতৃক গৃহিত হয়েছে ৭ জুন ২০২০।
এরি প্রেক্ষিতে মোঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী (উপসচিব) প্রজ্ঞাপন জারির মধ্যদিয়ে টেকনাফ ইউপি সদস্যকে বরখাস্ত'র নোটিশ দেন ।
[caption id="attachment_589" align="alignleft" width="225"] প্রজ্ঞাপনটি হুবুহু তুলে ধরা হলো[/caption]
সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম
©Vorercoxsbazar.com