ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অপেক্ষায় শোকার্ত গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে গোপালগঞ্জের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাতে তার মৃত্যুর খবর গোপালগঞ্জে পৌঁছালে জেলার রাজনৈতিক মহলসহ সর্বস্তরের মানুষ শোকে ভেঙে পড়েন। রোববার সকাল থেকেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘদিনের পরিচিতরা শহরের কলেজ রোডে তার বাসভবনে আসতে থাকেন। যদিও বাড়িতে কেউ না থাকায় সেখানে কেউ অবস্থান করেননি।

রোববার সকাল ৮টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর গোপালগঞ্জের বাড়িতে বসবাসকারী তার অত্যন্ত স্নেহধন্য দীপক সরকারের (৩২) সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রাতে মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই আমরা নির্বাক হয়ে গেছি। শনিবার সকালে ফোনে মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন তিনি তার শরীরিক অবস্থা একটু খারাপ বলে জানান। ওইসময় তিনি আমাকে সবকিছু খেয়াল রাখার কথাও বলেন।

এভাবে উনি চলে যাবেন, সেটাও বিশ্বাস করতে হচ্ছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

দীপক সরকার আরও বলেন, রাতেই মন্ত্রীর ছোট ভাই শেখ মোহাম্মদ অবু দাউদসহ নিকট আত্মীয়রা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী শেখ নাজমুল হক সৈকত বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করবে। গোপালগঞ্জে পৌঁছে বাদ আসর সদর উপজেলার মধূমতি বিধৌত কেকানীয়া গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

মৃত্যুকালে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দুই স্ত্রী, ৯ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন বলেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছিলেন আওয়ামী লীগের মাঠের একজন ত্যাগী নেতা ও দুঃসময়ের কাণ্ডারী। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে সকল লোভ, লালসার ঊর্ধ্বে থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা নেমে আসলো।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের বলেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে হারিয়ে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। তিনি ছিলেন আমাদের নেতা ও অভিভাবক। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘসময় তার সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে পেয়েছি। পেয়েছি সহযোগিতা ও পরামর্শ। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, রাজনৈতিক কারণে ছোট বেলা থেকে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সন্নিধ্য পেয়েছি। তিনি ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের আওয়ামী লীগের নেতা এবং একজন গুণী মানুষ। কোটালীপাড়ার রাজনীতে তার অবদান আমরা সারাজীবন স্মরণ করব। মহান আল্লাহ তায়ালা এ মহান নেতাকে বেহেশতবাসী করুন এ দোয়া করি।