অনার্স-মাস্টার্সে 'নো প্রাইভেট নো কোচিং'

অ্যাডমিন ক্যাডার রেজোয়ান কখনো মোবাইল ব্যবহার করেননি

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্ব শেষ করেছেন; কিন্তু কোনো দিন ব্যবহার করেননি মোবাইল ফোন। তা ছাড়া অনার্স ও মাস্টার্সেও পড়েননি প্রাইভেট বা কোচিং। তার পরও নিজ লক্ষ্যে পৌঁছে এখন সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বাবা ও স্কুলশিক্ষিকা মায়ের সন্তান রেজোয়ান ইফতেকার। সদ্য ৩৮তম বিসিএসে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে (বিসিএস অ্যাডমিন) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

রেজোয়ানের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার চণ্ডীপাশা নতুন বাজার এলাকায়। ব্যবসায়ী বাবা ইফতেকার হোসেন বাবুল ও মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষিকা কুলসুম ইফতেকারের সন্তান। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু একটা জেদের কারণে সেই লক্ষ্য পাল্টে যায়। লক্ষ্য এবার অ্যাডমিন ক্যাডার হওয়া, প্রিয় দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত করবেন নিজেকে। সে স্বপ্ন পূরণ হলো। তবে সেই স্বপ্নের পেছনে রয়েছে বাজিমাত করা অনেক গল্প।

ছোট থেকেই ছিলেন মেধাবী। স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছেন মেধাবৃত্তি। ২০০৭ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫। ২০০৯ সালে এইচএসসিতে ৪.৮০। আর আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪-১৫ সালের অনার্সে ৩.০৮ এবং মাস্টার্সে ৩.১৩ পেয়েছেন।

রেজোয়ান জানান, তিনি কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। নিজের প্রয়োজনে বন্ধুদের মোবাইল ব্যবহার করতেন ক্ষণিকের জন্য। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন নিজের মতো করে। সব ক্ষেত্রেই সফলতা পেয়েছেন। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে তিনি বসে থাকেননি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি পেয়ে যান। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরিতে যোগ দিয়ে মে মাসের বেতন পেয়ে তিনি জীবনের প্রথমবারের মতো নেন একটি মোবাইল ফোন। এটা ছিল তাঁর একটি লক্ষ্য।

মা-বাবার ভালোবাসায় ও অনুপ্রেরণায় স্বপ্নচূড়া স্পর্শ করেছেন জানিয়ে রেজোয়ান বলেন, বিসিএস আমার স্বপ্ন ছিল। আজ আমার যা প্রাপ্তি সবটুকু মা-বাবার জন্যই। আমি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই। অসামান্য পরিশ্রমের পর এমন ফল পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এমন অর্জন পরিবার ও নিজের জন্য অনেক সম্মানের।