করোনার নতুন ভার্শন: ‘ডি৬১৪জি’ নিয়ে ভয়!

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এক গবেষণা বলছে, সম্প্রতি যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা এই ভাইরাসের নতুন এক স্ট্রেনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসটি আবারো তার নিজের চরিত্র বদল করেছে।

গবেষকদের দাবি, এই ভাইরাসের নতুন যে স্ট্রেনে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সেটির নাম ‘ডি৬১৪জি’। এই স্ট্রেনটিই হলো ভাইরাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ। কারণ ভাইরাসের এই রূপটিতেই এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই দাবি করছেন। তাদের মতে, ভাইরাসের এই রূপটি অনেক ছোট। তবে ভাইরাসের উপরিভাগের ‘স্পাইক’ প্রোটিনগুলোতে কার্যকর পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে এই ভাইরাস মানুষের কোষগুলোতে প্রবেশ করতে পারে খুব সহজেই।

গবেষকরা সারা বিশ্বের ভাইরাল তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জিআইএসঅ্যাআইডি ডাটাবেজ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ডাটাবেসটিতে ১০ হাজারেরও বেশি ভাইরাল সিকোয়েন্স ছিল। এগুলো দেখেই গবেষকরা সিদ্ধান্ত নেন সারা বিশ্বে কিভাবে ভাইরাস নিজেকে পরিবর্তন ও মানুষকে সংক্রমিত করে।

শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল লেকচারার ডা. থুষান ডি সিলভা জানান, মহামারি শুরুর পর থেকেই আমরা শেফিল্ডে করোনার স্ট্রেনগুলো নিয়ে সিকোয়েন্সিং করে যাচ্ছি। আমরা দেখেছি করোনার এই রূপাটি প্রচলিত স্ট্রেনগুলো থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছে।

তিনি বলেন, আজ ( ৩ জুলাই) প্রকাশিত পূর্ণ ‘পিয়ার রিভিউ’ সমীক্ষা এটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। করোনার এই নতুন স্ট্রেনটি পরীক্ষাগারের সবেচেয়ে বেশি সংক্রমক; তাও জানা গেছে। শেফিল্ডে আমাদের টিমের দেওয়া ডেটা থেকে জানা গেছে, করোনা রোগীর উপরের শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাকে নতুন স্ট্রেনটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল লোড নিয়ে হানা দেয়। এর মানে মানুষকে সংক্রমিত করায় সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রয়েছে এই স্ট্রেনের।

ভাইরাসের এই স্ট্রেনটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও আশার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, ভাইরাসের এই স্ট্রেনটি সবচেয়ে বেশি মানুষকে আক্রান্ত করলেও শরীরিক অবস্থা গুরুতর হবে না। ডি সিলভা বলেন, এই পর্যায়ে এসে মনে হয় না যে, ভাইরাসের এই স্ট্রেনটি মারাত্মক আকার (শরীরে) ধারণ করবে।