রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে মায়ের কবরে সমাহিত করা হয় তাকে। এর আগে কবরস্থানের সামনে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের দ্বিতীয় জানাজা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ ১১ জুলাই, শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীন দলটির বর্ষীয়ান এই নেতার জানাজা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা শেষে সাহারা খাতুনের জন্য বিশেষ মোনাজাতের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়। দেয়া হয় নিজ দল আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলিও।

এর আগে সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বনানী কবরস্থানে এসে পৌঁছায়।

সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার বাসা সংলগ্ন বায়তুল শরফ জামে মসজিদে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহারা খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টারে দিকে একটি বিশেষ বিমানে থাইল্যান্ড থেকে তার মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ সরাসরি নেওয়া হয় ফার্মগেট সংলগ্ন তেজগাঁওয়ের নিজ বাসায়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় রাজপথের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভোগ করেছেন অবর্ণনীয় নির্যাতন। বারবার জেল খেটেছেন। পরে দল ক্ষমতায় আসার পর এক মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বভারও সামলেছেন। পরবর্তীতে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী। কিন্তু গত মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি বর্ষীয়ান এই নেতার।