রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে অবিলন্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে অবিলন্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে আমরা রিজেন্ট হাসপাতালকে টেস্টের অনুমতি দিতাম না যদি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে বলা না হতো। অর্থাৎ হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে বলা হচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতালকে পরীক্ষার অনুমতি দিতে। তাহলে এখানে কে রেস্পন্সিবল? নিঃসন্দেহে হেলথ মিনিস্টার। তাকে দ্রুত পদত্যাগ করা উচিত। ‌

আজ রোববার উত্তরার নিজ ভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে করোনা চিকিৎসায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন হটলাইন কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ।

তিনি বলেন, আজকে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলেছে। ভঙ্গুর হয়ে গেছে। যে হারে লুটপাট করেছে সবাই দেখেছেন গণমাধ্যমে। ‌গণমাধ্যমে যারা কর্মী সাংবাদিক আছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই চরম বৈরী তার মধ্যেও যখন কোন সংবাদ প্রকাশ করা বিপদজনক তখন তারা অনেকটা সংবাদ প্রকাশ করছেন যা মানুষ জানতে পারছে এই সরকারের আমলে কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নির্বাচিত নাই তাই তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই, তাদের চুরি মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই তারা খুঁজছে কিভাবে চুরি করা যাবে কোথায় চুরি করা যাবে। ‌এর ফলে মানুষের সেবা জীবন বাঁচানোর যে কাজ জনগণের জীবিকা নির্ধারণের যে কাজ সেখানে তারা একেবারেই আগ্রহহীন।

তিনি বলেন, এই ক্রাইসিস গুলো আসবে জেনেই আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা একটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তাব করেছিলাম। ‌আমরা প্রস্তাব করেছিলাম স্বল্পমেয়াদী মধ্যবর্তী এবং দীর্ঘমেয়াদী কিভাবে এই সংকট থেকে উত্তরণ করা যায়। ‌ কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সবকিছু খুলে দেওয়ার পর যেটা হয়েছে একদিকে সংক্রমিত হয়েছে অন্যদিকে যে আশা করে সবকিছু তারা খুলে দিয়েছিল কিন্তু সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ‌ দুঃখ হয় লজ্জা হয় যখন প্রচণ্ড দুঃসময়ের মধ্যে টেস্ট করতে গিয়ে দুর্নীতি এবং তার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের লোকজন।