‘শাহেদনামা’ এক মহাপ্রতারকের প্রতারণার মহাকাব্য

প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

পড়াশুনার দৌড় মাত্র এসএসসি পর্যন্ত। কিন্তু নিজেকে কখনো অবসরপ্রাপ্ত মেজর , কখনো কর্নেল কখনোবা সচিব পরিচয় দিতেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মহাপ্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ছিলেন বলেও নিজের পরিচয় দিতেন কখনো কখনো। মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ থেকে ছয় কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার নথিতে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হিসেবে জাহির করেন। নিজের নম্বরবিহীন গাড়িতে ব্যবহার করতেন ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, সাইরেনযুক্ত হর্ন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার। সঙ্গে থাকত সশস্ত্র বডিগার্ড । ৩২ মামলার আসামি হয়েও ক্ষমতাসীনদলের পরিচয়ে নিয়মিত হাজির হতেন টেলিভিশনের টকশোতে। আওড়াতেন নীতি নৈতিকতার বুলি। ক্ষমতাসীন দলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে তিনি নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতেন। নিজের ফেসবুক পেজে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সামনে। ২০১৩ সালে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স নেয়ার পর আর নবায়ন করার গরজ অনুভব করেন নি। লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানকে করোনার মতো স্পর্শকাতর চিকিৎসাসেবা দেয়ার অনুমতি দিয়েছিল খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মো. শাহেদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তার আসল নাম মো. শাহেদ করিম। পিতার নাম সিরাজুল করিম। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার ঠিকানা হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১। গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলায়। ১/১১ সরকারের সময় তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা বলছেন। জেল থেকে বের হয়ে ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে এমএলএম কোম্পানি বিডিএস ক্লিক ওয়ান খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আর সেসময় তিনি মেজর ইফতেখার করিম চৌধুরী বলে পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা, বরিশালে একটি মামলা, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসে চাকুরি দেয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

এছাড়াও প্রতারণার টাকায় তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার পাশে গড়ে তুলেছেন রিজেন্ট কলেজ ও ইউনিভার্সিটি, আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটি। এর একটিরও কোন বৈধ লাইসেন্স নেই বলে অভিযোগ আছে। আর অনুমোদনহীন আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটির ১২টি শাখা করে হাজার হাজার সদস্যদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে শাহেদের বিরুদ্ধে। প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে নিজের কার্যালয়ে একটি টর্চার সেল গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

তবে শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের এই প্রতারণার ইতিহাস একের পর এক সামনে আসতে থাকে ভুয়া করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর।
বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসতে থাকে, এই শাহেদ করিম আদতে একজন প্রতারক। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজের যে পরিচয় দিয়েছেন, তাতে তাঁকে প্রভাবশালী বলেই মনে হয়। ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য; ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট; রিজেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি, রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্চ নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান তিনি। যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক শাম্মী আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শাহেদ করিম কমিটির সদস্য নন। তিনি মাঝে মাঝে বৈঠকে আসতেন। আগে কোনো একসময় সদস্য ছিলেন।
ফেসবুকে শাহেদের ছবি আছে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানে থাকা লোকজনের সঙ্গেও ছবি আছে। পরিচয় দিতো আওয়ামী লীগ সরকা‌রের বি‌ভিন্ন মন্ত্রী ও কর্তা ব্য‌ক্তি‌দের কা‌ছের লোক হিসেবে। ঘন ঘন টকশোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি নিজের প্রভাব বাড়িয়েছেন। কখনো সাংবাদিকতা না করেও নতুন কাগজ নামের একটি পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন সম্প্রতি। নিজেকে উত্তরা মিডিয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন এই প্রতারক।

শাহেদ করিমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। সেখানে তাঁদের করিম সুপার মার্কেট নামের একটি বিপণিবিতান ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। তবে মাঝে মাঝে সাতক্ষীরায় যেতেন। তাঁর মা সাফিয়া করিম ২০০৬-০৭ সালের দিকে স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, নানা পরিচয়ে তিনি লোকজনের টাকা মেরেছেন।

২০০৯ সালে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ ও র‌্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই মামলার কাগজপত্রে দেখা যায়, খুলনার একটি টেক্সটাইল মিলের জন্য দুই টনের ১০টি ও দেড় টনের ১৫টি এসি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল শাহেদ করিমের প্রতিষ্ঠান। জিনিসপত্র নিয়ে ১৯ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন রাইজিং শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি এবং রাইজিং রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনায় মামলা করে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর আলী ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, শাহেদ একজন পেশাদার প্রতারক। শাহবাগ, লালবাগ, আদাবর, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে প্রতারণার মামলা আছে।

সূত্রগুলো জানায়, ২০১১ সালে ধানমন্ডিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে এমএলএম ব্যবসা শুরু করে শাহেদ। পরে টাকা নিয়ে চম্পট দেন। ওই সময় প্রতারণার শিকার লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক বছর তিনি বারাসাতে ছিলেন সপরিবারে। পরে মামলাগুলোয় জামিন পেলে দেশে ফিরে এসে ব্যবসার আড়ালে প্রতারণা শুরু করেন শাহেদ।

একে একে এই শাহেদ করিম রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (মিরপুর), রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (উত্তরা), ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, হোটেল মিলিনার মালিক হয়ে যান বিস্ময়করভাবে। তবে প্রতারণা থেমে থাকেনি। প্রতারণার শিকার ফেনীর জুলফিকার আলী ভুট্টো নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, শাহেদ করিমের মালিকানাধীন রিজেন্ট কেসিএস পূর্বাচল প্রজেক্টে বালু সরবরাহের কাজ পেয়েছিল তাঁর প্রতিষ্ঠান রুসাফা কনস্ট্রাকশন। সিলেট থেকে বালু সরবরাহের পর শাহেদ করিম তাঁর পাওনা ৪২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫৯ টাকা দেননি। উল্টো একদিন অফিসে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পেটানো হয়। তারপর ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুট্টো।

রিজেন্টের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪২৬৪টি স্যাম্পল রিজেন্ট টেস্ট করেছে এবং এর বাইরে ৬ হাজারের বেশি স্যাম্পল টেস্ট না করেই তারা ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে । এ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ২০১৪ সাল থেকে নেই। আর আইসিইউ যেটা আছে সেটা ভালোভাবে চলছিলো না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডায়াগনোসিস ল্যাব আছে, সেখানে কোনো মেশিন নেই, সেখানে কোনো টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অভিযান চলাকালে ফ্রিজের মধ্যে এক অংশে মেডিসিন অন্য অংশে মাছ মিলেছে। হাসপাতালটির ডিসপেনসারির সব সার্জিক্যাল আইটেম ৫/৬ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ। নেই মালিকের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন। প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানোর সময় বেশ কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যেগুলো হাসপাতালে থাকার কথা সেগুলো মিলেছে রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে। র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, যেই চিকিৎসা বিনামূল্যে করার কথা সেটির জন্য রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আবার সরকারের কাছ থেকেও সেই টাকা গ্রহণ করেছে হাসপাতালটি।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করতো রিজেন্ট হাসপাতাল। এ ছাড়াও সরকার থেকে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করার অনুমতি নিয়ে রিপোর্ট প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করতো তারা। এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিজেন্ট। এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ নিজে করতেন অফিসে বসে।
শাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। ওই গাড়িতে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার ব্যবহার করা হতো।

৫০ শয্যার রিজেন্ট হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছিলো ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। পরে ২০১৭ সালে মিরপুরেও হাসপাতালটির আরেকটি শাখা খোলা হয়। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ একবার উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর নবায়ন করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

করোনা আক্রান্ত বাবাকেই রিজেন্টে ভর্তি করেননি শাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদের বাবাও করোনা আক্রান্ত হন। তবে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে ভর্তি করানো হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। বিষয়টি জানা যায়, এই হাসপাতালের একজন সাবেক কর্মীর মাধ্যমে। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি রিজেন্ট হাসপাতাল ছেড়ে দিয়েছেন আগেই। তাকে ফোন দিয়েছিলেন শাহেদ। তিনি প্লাজমা দেয়ার আবেদন জানিয়ে ছিলেন তার কাছে। তবে রক্তের গ্রুপ না মেলায় তিনি প্লাজমা দিতে পারেন নি। এ ছাড়াও নিজের ফেসবুক ওয়ালে বাবার জন্য বি পজেটিভ প্লাজমার জন্য আবেদন করে পোস্টও দিয়েছিলেন শাহেদ। তিনি ওই কর্মীকে জানিয়ে ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালে তার বাবা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রিজেন্টের প্রতারণার সবই জানত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর!
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক বায়েজীদ খুরশিদ রিয়াজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গত ৭ জুন চিঠি দিয়েছিলেন রিজেন্টের অপকর্ম নিয়ে। এতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে আদায় করছে। অথচ সরকার বিনা মূল্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে দিচ্ছে। নিপসম থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানানোর জন্য যে এসএমএস প্রত্যেক নমুনা প্রদানকারীকে পাঠানো হচ্ছে, তাতেও বিনা মূল্যে এই সেবা দেওয়ার বার্তা থাকছে।

ওই চিঠির পরও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা রিজেন্ট থেকে দিনে ৫০টি নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। যদিও এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পারেনি সংবাদমাধ্যম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো খোঁজখবর না নিয়ে, এই হাসপাতালের দক্ষতা যাচাই না করে কীভাবে কোভিড চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ দিল, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

শীর্ষ নিউজ