করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ দিনের মাথায় করোনা মুক্ত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমীরাতের রেমিটেন্স যোদ্ধা সাবেক ছাত্রনেতা কক্সবাজার শহরের প্রিয়মূখ রেজাউল ইসলাম রানা, গত ১জুলাই ফলোআপ রিপোর্টে তার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
গত ১ জুলাই থেকে দুলহাজারা মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে আরো উন্নত চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। তিনি নিজেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গতঃ সংযুক্ত আরব আমীরাতের এই রেমিটেন্স যোদ্ধ কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত ১৭ জুন শ্বাস-প্রশ্বাসের অবস্থা অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রানার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায় নেন । তার শ্বাস-প্রশ্বাস সিচুয়েশন ছিল ৮৬, তখন রানা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রধান ইনচার্জ ডাক্তার শাহীন আব্দুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে রামু আইসোলেশন সেন্টার পাঠানো হয়।
রেমিট্যান্স যোদ্ধা রানা আবেগআপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, পাঠকের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো।
আলহামদুলিল্লাহ
দীর্ঘ ২১ দিন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রামু আইশোলেশন,দুলাজারা খ্রিস্টান হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন অনেক সুস্থ অনুভব করছি। আমার অসুস্থ থাকা কালীন সময় আমার বন্ধুরা যারা আমাকে সবসময় সাহায্য সহযোগিতা করেছে তাদের কাছে সারাজীবন ঋৃনী হয়ে রইলাম।আমার ৯৯ এর কেজি স্কুলের বন্ধু বান্ধবীরা বিশেষ করে অহিদুল,নুওশের,আফরোজা,ইউসুফ সুমন,মুমু,সাইদা,কাইয়ুম,মেকসিম।এবং আমার প্রিয় বনধু -ঝুমুর(বাবু),শাইরীন,হাফিজ,বাহাদুর,আবদুল মালেক জাকির, ডাঃ জাহিদুল মোস্তফা, সুমন শুভ,সাজ্জাদ, আবদুল্লাহ,সিরাজ,সেলিম, তোদের অবদান আমি কখনও ভুলবনা।
আর তিনজন মানুষের কথা না বললেই নয়ঃ একজন ছোটবোন আইরিন ও তার স্বামী ডঃশাহীন আব্দুর রহমান,এবং ডঃ নোবেল বডুয়া তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আমি এবং আমার পরিবার সবচেয়ে বেশী কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার খালু জনাব ইকবাল সাহেবকে। যিনি সব সময় আমাদের বিপদে আপদে খোজ খবর নেয়।এবং আমার মামাত ভাই শহীদ,ও সাইফুলকে।
সব শেষে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই
মৃত্যুরকাছ থেকে আমাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
হে আলালহ তুমি অনেক মহান৷
সবাইকে আবারও অশেষ ধন্যবাদ যারা আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।
সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম
©Vorercoxsbazar.com