ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ খারিজ করে দিলেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ মামলা হিসেবে নিয়ে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।

বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান এ আদেশ দেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ১৯ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ আগস্ট বিকেলে ঢাকায় ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ সনাতন ধর্ম ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি এ সময় বলেন, ‘হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ মহাভারত, রামায়ন দুটোর মধ্যেই প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের গল্পকাহিনী রয়েছে।’

এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে কুৎসা ও হিংসাত্মক নিন্দাবাদ প্রচারের মাধ্যমে সনাতন ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলার অভিযোগে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ সম্পর্কে জনসম্মুখে দেয়া বক্তব্য মনগড়া, আপত্তিকর, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি।

তবে মামলা প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি বলেছি রামায়ণ, মহাভারত দুটো কাল্পনিক বড় বই। এটা ঐতিহাসিক নয়। ভারতে রামমন্দির যেটা বলা হচ্ছে, তার ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই। তারা মামলা করতেই পারে। মামলা করতে এখন তো টাকা লাগে না। তারা আমাকে ভুল বুঝে আবেগে মামলা করেছেন। আমি হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কিছুই বলিনি, কাউকে আঘাত দেওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও আমার নেই।’

বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পশ্চিম ধলই গ্রামের মানিক দের ছেলে বিপ্লব দে। আইনজীবী মিথুন বিশ্বাস তার পক্ষে শুনানি করেন।