Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ যেদিন শেষ হবে তার পরদিন থেকেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। এবং তার প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ তাকে নিয়ে যে ইঙ্গিত দিলেন তাতে এটা স্পষ্ট শ্রীলঙ্কা সিরিজেই হয়ত তাকে দেখা যাবে।
আইসিসি’র এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে তখন শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করবে টিম বাংলাদেশ। যেহেতু সিরিজের প্রথম টেস্টের সম্ভাব্য দিন ২৪ অক্টোবর ধার্য্য করা হয়েছে সেহেতু অনুমিত নিয়মতান্ত্রিকভাবেই প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারবেন না লাল সবুজের এই সুপারম্যান। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ঠিকই খেলতে পারবেন বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এসে তিনি একথা জানান।
পাপন বলেন, ‘যেদিন ওর নিষেধাজ্ঞাটা উঠে যাবে তারপরেই সে আমাদের সঙ্গে খেলতে পারবে। তখন থেকেই তাকে খেলানোর জন্য বিবেচনা করা হবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছি কবে সাকিব ফিরবে। কিন্তু এসবের সাথে ওর ফিটনেস, প্রস্তুতিরও একটা ব্যাপার আছে। এ জন্য ও ওর মতো যেভাবে অনুশীলন করা দরকার… এখনতো সে আমাদের সঙ্গে করতে পারছেনা। এখন নিষেধাজ্ঞার কারণে আমদের সঙ্গে করতে পারবেনা। এ কারণে সে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করছে। আমার সঙ্গে কথা বলেছে। শেষ যখন কথা হলো তখন বলেছে এ মাসের শেষ দিকে চলে আসবে। আর আশা করছি ও ফিট থাকবে, সবই থাকবে এবং আমাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় সে জয়েন করতে পারবে।’
নিষেধাজ্ঞা না হয় শেষ হলো। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার মতো যে ফিটনেস প্রয়োজন সেটা কী সাকিবের থাকবে? যদি না থাকে সেক্ষেত্রে বিকল্প কী?
সংবাদমাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি বস বললেন, ‘ও বিসিবি’র সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবেনা, কিন্তু অন্য কোনো দল পেলে খেলতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে আমি বলছি যদি সে পাড়ায় টিম পায়, সেখানে খেলতে পারবে। কিন্তু বিসিবি’র কারও সঙ্গে খেলতে পারবেনা। তবে এখন থেকেই আমরা দেখবো। আইন অনুসারেই সে আমাদের ফিজিও, কোচের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কাজ করতে পারবে। ওকে তো ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। আর আমরা তাকে আগেই শ্রীলঙ্কায় যেতে বলবো। ওখানেও তাকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এসব নিয়েই আলাপ আলোচনা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ ও ২০১৮ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানকে। সাকিব সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ আইসিসি’র অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানায়নি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচে সাকিব দুর্নীতির প্রস্তাব পান। ম্যাচ ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেটা গোপন করার অভিযোগে তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর। ২৯ অক্টোর থেকে তিনি আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।