চকরিয়ায় জমি দখলে মরিয়া দখলবাজ চক্র : প্রতিকার কামনায় ভুক্তভোগীরা

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
print news

রফিকুল ইসলাম সোহেল :


কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চিরিংগা নাথ পাড়ায় দখলবাজ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এইসব ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষদের সর্বশান্ত করছে। ১১ সেপ্টেম্বর চকরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে দায়েরকৃত এজাহারে লক্ষি রানী দে জানিয়েছেন, স্বামী, সন্তান নিয়ে এলাকায় সরকারি এম.ই.এস ভূমি ইজারা নিয়ে বহু বছর তারা শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসিতেছিল। তাদের নিকটতম একদল প্রতিবেশি অত্যন্ত জুলুমবাজ, দখলবাজ ও ভূমিদস্যু চক্র। এরা আমাদের ভিটাবাড়ি অসৎ উপায়ে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় জুলুমবাজ চক্রটি পুর্ব শক্রতার জের ধরে লক্ষী রানি দে’ কে অহেতুক গালিগালাজ করে। লক্ষী রানি এর প্রতিবাদ করলে তারা দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, দা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে অনধিকার বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যা চেষ্টায় এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত পুর্বক গুরুতর আহত করে। শ্লীলতাহানি করে আশি হাজার মূল্যের স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে লক্ষি রানি দে’কে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় বলরাম দাশের স্ত্রী লক্ষি রানী দে বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত ধীরেন্দ্র লাল দাশের পুত্র অনিবাশি দাশ, অনিবাশি দাশের পুত্র রিপন দাশ, সুমন দাশ ও মৃত রাখাল চন্দ্র দাশের পুত্র টিটু দাশকে অভিযুক্ত করে ১১ সেপ্টেম্বর এজাহার দায়ের করেন। উক্ত মামলার রেকড হয় ১৩ সেপ্টেম্বর উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল উল্লেখিত দখলবাজ, ভূমিদস্যু ও পরধনলোভী চক্র অসাধুভাবে উচ্ছেদ এর চেষ্টা, জবরদখল, হুমকিদমকি এবং নানা ষড়যন্ত্র করে। এ সকল অপরাধিদের এসব ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব অপরাধি চক্র ভিও এবং ইমারাকৃত এম ই এস জমিকে মিথ্যা তত্ব্য দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে ১৪৪ ধারা আদেশ হাছিল করে পুলিশ প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তাদের হাত করে জমি দখল চেষ্টাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত অনিবাসী ও বলরামকে তাদের স্বর্গীয় পিতা ধীরেন্দ্র লাল দে ২১-০৬-১৯৯২ ইং ১৯৪৬ রেজিস্ট্রীকৃত কবলা মূলে ৬ শতক জমি দুই ভাইকে সমান বন্টনে বাগ করে দেন, উক্ত জমির দলিল নিয়ে একক অনিবাসির নামে ৭২৪ নং বি. এস. খতিয়ান সৃজন করে বড় ভাই বলরামকে উক্ত জমি হইতে বনছিত করে। উক্ত অনিবাসির বিরুদ্ধে জি আর মমজা নং ৪৫১/২০১৫ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০ধারায় বাদী পম্পী দাশের মামলা বিচারাধীন চলমান রয়েছে।

উপরোক্ত ঘটনায় অসহায় লক্ষি রানী দে প্রতিকার কামনা করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চকরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।