রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথম দফায় ২১বাস ভাসাচরের পথে

প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

আরাফাত চৌধুরী : উখিয়া |
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ৬শ পরিবারকে ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উখিয়ার অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ থেকে বাসযোগে যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দফায় উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১০০রোহিঙ্গা পরিবারকে বহনকারী ২৩টি বাস ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। তবে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উখিয়া ক্যাম্প থেকে তাদের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে আগামীকাল তাদের ভাসানচর নেয়ার কথা রয়েছে।

প্রথম দফায় প্রায় ৬শ’ রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। ভাসানচর যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে বাসে করে চট্টগ্রাম আনা হবে। সেখান থেকে নৌ বাহিনীর জাহাজে ভাসানচর যাবেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা।

এর মধ্য দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প হিসেবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ভাসানচরের। স্বেচ্ছায় স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যেতে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ১২টি ও সেনাবাহিনীর ১টি জাহাজ। এরইমধ্যে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় আগ্রহী রোহিঙ্গাদের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।

ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত রয়েছে ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার।

ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৪৪০টি ঘর এবং ১২০টি সাইক্লোন সেন্টারে থাকতে পারবেন ১ লাখ ১ হজার ৩৬০ জন রোহিঙ্গা। পাচ্ছেন খাদ্য, চিকিৎসাসহ নানা সুবিধা। এমনকি শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে ভাসানচরে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে সাময়িক অবস্থান যেন আরো শোভন হয়, সে চেষ্টার কমতি করেনি সরকার। তাই তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ভাসানচরে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল আশ্রয়ন প্রকল্প।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন নির্বিঘ্ন করতে আগেই ভাসানচরে পৌঁছেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় আড়াইশ সদস্য এবং ২২টি এনজিওর কর্মকর্তারা। প্রথম দলের বসবাস শুরুর পর, কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা মিয়ানমারের বাকি নাগরিকরাও ভাসানচরে আসতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার সরকারের দমন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। তখন থেকেই তারা বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে রয়েছে। তাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন সেবা সংস্থা।