দেশকে সবদিক থেকে উন্নত-সমৃদ্ধ করব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার আদর্শ ও নীতি নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা এটাই প্রতিজ্ঞা করব যে, দেশকে আমরা সবদিক থেকে উন্নত সমৃদ্ধ করব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী মত্স্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে সরকারে আসি, ১৯৯৮ সালেই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলি। দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি, তখনো আমাদের লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিটাও যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থাটাও আমরা নিই। সেদিকে লক্ষ রেখে আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে সচেষ্ট হই।

সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি দেয় মাছ। একটা মানুষ যদি দৈনিক ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারে সেটা তার জন্য যথেষ্ট। সেখানে যাতে ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

ভিডিও বার্তায় যুবকদের শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে মত্স্য খামারের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন করে উপার্জনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ব্যাপক একটা কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়ে গেছে। আমরা চাই সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে। এর জন্য বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া ব্যাংকের ঋণের ব্যবস্থা আছে। সবকিছুর সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজের জন্য আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখানে কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ নেয়া যেতে পারে। সেই ঋণ নিয়ে যে কেউ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, কাজ করতে পারবে।

সরকারপ্রধান বলেন, সারা দেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এ অঞ্চলগুলোতে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। সেখানে মত্স্যজাত যেকোনো পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত করতে পারে, সে সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে।

দেশে মাছ উৎপাদনে সরকারের তত্পরতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মাছের উৎপাদন ছিল ২৭ লাখ টন। এখন আমরা প্রায় ৫০ লাখ টনের কাছাকাছি উৎপাদন করা শুরু করেছি। ইলিশ উৎপাদনে আমরা পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ। ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

সরকারের পক্ষ থেকে মত্স্যচাষীদের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, মত্স্য প্রজনন মৌসুমে মত্স্যজীবীদের আমরা বিশেষ বরাদ্দ দিই, তাদের খাদ্য সাহায্য দিই। আমরা প্রত্যেককে প্রতি মাসে বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়ে থাকি, চাল দিয়ে থাকি। আমরা ঝাঁকায় করে মাছ চাষের ব্যবস্থা নিয়েছি। মত্স্যজীবীরা যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না পান, সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। এভাবে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ায় এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায়ও ভুগছে না। আমি অনুরোধ করব, খাদ্য তালিকায় যাতে ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি, তরিতরকারি, ফলমূল থাকে।