রোহিঙ্গা শিবিরে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১
রোহিঙ্গা শিবিরে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু – ছবি : সংগৃহীত

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা রোববার থেকে ৩০ মে রোববার পর্যন্ত আট দিন কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। এ সময় করোনাবিষয়ক সরকারের সকল বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করা হবে।

উখিয়ার ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরো জানান, এ সময় উখিয়া উপজেলায় কোনো মানুষ বাইরে থেকে এসে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার উখিয়া উপজেলা থেকে কোনো মানুষ বাইরে যেতে পারবে না।

এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উখিয়া উপজেলার সকল সীমান্ত ও সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাত-দিন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না। ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় দোকান ব্যতীত বিকেল ৫টার পর কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জরুরি বিষয় ছাড়া সবকিছুর যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এ সময় ক্যাম্প থেকে কোনো শরণার্থী বা স্থানীয় মানুষ বাইরে থেকে এসে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার ক্যাম্প থেকে কোনো স্থানীয় মানুষ বা শরণার্থী লকডাউন চলাকালে বাইরে যেতে পারবে না। একইভাবে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে শরণার্থীরাও আসা যাওয়া করতে পারবে না।

কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় কর্ম, খাদ্য, চিকিৎসা ব্যতীত এনজিও, আইএনজিও, জাতিসঙ্ঘের সংস্থাসহ ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকলের গাড়ি চলাচল ও আসা যাওয়া কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগে গৃহীত কার্যক্রমগুলো আরো জোরদার করা হয়েছে।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত প্রক্রিয়াটি ‘লকডাউন’ কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লকডাউন নয়, করোনা প্রতিরোধে সরকারের জারিকৃত বিধিমালার যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ’।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও উখিয়ায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ দিকে শুক্রবার পর্যন্ত উখিয়া উপজেলায় কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৮৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে স্থানীয় নাগরিক এক হাজার ১১০ জন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ৭৭৪ জন