প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় মাঝে মাঝেই সশস্ত্র সংঘাতের কারনে সেখানকার সাধারণত মানুষের নিরাপত্তা সংকটে পড়ছে। বিগত তিন বছরে তিন পার্বত্য জেলায় একশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গত ১৮ ই জুন শুক্রবার বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ওমর ফারুক নামে এক নওমুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে "সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম" অত্র অঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এক বিবৃতিতে ফোরামের প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন-
"১৯৯৭ তে শান্তি চুক্তির শর্ত মানেনি সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পুরোপুরি অস্ত্র সমর্পণের কথা থাকলেও তারা অস্ত্র জমা দেয়নি। এ চুক্তির মাধ্যমে সেনা ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করায় পুরো পার্বত্য এলাকা অনিরাপদ হিসেবে আছে। খুন-গুম, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা আরও বেড়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দলগুলো চার খণ্ডে বিভক্ত হওয়ায় প্রতিনিয়ত পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সেনাবাহিনী-বাঙালী এবং সাধারণ জনগনের মধ্যে সংঘাত চলছে। ওমর ফারুক নামে এক নওমুসলিম কে গুলি করে হত্যা করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা যা চলমান সংঘাতের অংশ। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ ও ধর্ম প্রচার করায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ তাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দেয়ার প্রেক্ষিতে গত ১৮ তারিখ খুন করলো। এ ঘটনা পার্বত্য এলাকায় জাতিগত সংঘাতের পথ উন্মুক্ত করলো। উক্ত ঘটনায় মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির উপর বড় আঘাত। আমি নিহত ব্যাক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
আমি সরকার ও পাহাড়ে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের প্রতি অনুরোধ- অনতিবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সরকারের প্রতি আহবান থাকবে- পূর্বের শান্তি চুক্তি বাতিল করে পাহাড়ি- বাঙালি উভয় পক্ষের প্রতিনিধি রেখে নতুন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করে পার্বত্য এসব অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম
©Vorercoxsbazar.com