গত ২০ জুন দৈনিক ইনানী পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় “বাদশাঘোনার সবুজ বাহিনী বেপরোয়া” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের সাথে আদৌ বাস্তবতার কোন মিল নেই। কথিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। সেইসাথে পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সংবাদে আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে আমার নেতৃত্বে এলাকায় বাহিনী রয়েছে মর্মে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাও খুবই দুঃখজনক। পাশাপাশি ডজন মামলার পলাতক আসামী হিসেবে আখ্যা দিয়ে যেভাবে আমার মানহানি করা হলো-সেটিও চরম অন্যায়। কারণ আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি-জায়গা জমি সংক্রান্ত আমাদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে পারিবারিক দু’টি মামলা ছাড়া অন্যকোন মামলা আমার নেই। তাও আদালত কর্তৃক জামিনে রয়েছি। এছাড়া আমার জানা মতে, মামলাগুলো যেহেতু বিচারাধিন সেহেতু মাননীয় আদালতের চুড়ান্ত রায়ে দোষি সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত সংবাদপত্রে অপরাধি উল্লেখ করাও আমার উপর অবিচার হয়েছে।
এমন বাস্তবতায় ভিত্তিহীন ওই সংবাদে প্রশাসনের কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই-এলাকায় আমার কোন গ্যাং নেই। এসব আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপ-প্রচার এবং ষড়যন্ত্র।
আমার বিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সবাই অবগত আছেন। আমার বাবা বাদশাঘোনার স্বনামধন্য মুরব্বী এবং সমাজসেবক। বিশেষ করে আমার শ্রদ্ধেয় পিতার নামেই “বাদশাঘোনা” এলাকাটি নামকরণ হয়েছে। চ্যালেন্জ দিয়ে বলতে পারি-এলাকার একজন লোকও আমাকে খারাপ বললে-আইনশৃংখরা বাহিনীর সব ধরণের শাস্তি মাথা পেতে নিব।
সুন্দর এবং সৎভাবে জীবনযাপন করার পরও একটি কুচক্রি মহল সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ওই সংবাদ ছাপিয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদসহ সংবাদে উল্লেখিত মনগড়া তথ্যগুলো নিয়ে প্রশাসন এবং এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
সরওয়ার কামাল সবুজ
পিতা : আবদুল মুফিজ বাদশা
সাং : বাদশাঘোনা, ১নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা,
(পুলিশ লাইনের পেছনে), সদর উপজেলা, কক্সবাজার।
সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম
©Vorercoxsbazar.com