বিক্ষোভের জেরে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১
বিক্ষোভের জেরে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সায়িদ। রোববার প্রেসিডেন্ট সায়িদ জানিয়েছেন, নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তিনি নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।

এ প্রসঙ্গে তিউনিসিয়াভিত্তিক একজন সাংবাদিক বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। সুতরাং প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়নি। এর আগে প্রেসিডেন্ট সংসদ বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সায়িদ বলেন, জনগণের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, ভণ্ডামি হওয়ায় বহু মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। যারা অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথা ভাবছেন তাদের সতর্ক করছি। যারাই একটি গুলি ছুঁড়বে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বুলেট দিয়ে জবাব দেবে।

খবরে বলা হয় কায়েস সায়িদ সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতার আলোকেই প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবি করেছেন।

তবে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপের পর তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরুর অভিযোগ এনেছেন তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার রাচেদ ঘানাউচি। পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল এনাহাদার প্রধান ঘানাউচি বলেন, আমরা মনে করি সব প্রতিষ্ঠান এখনও কার্যকর রয়েছে, আর ইনাহাদার সব সমর্থক এবং তিউনিসিয়ার জনগণ বিপ্লব রক্ষা করবে।

এর আগে করোনায় অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের কারণে তিউনিসিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে লাখ লাখ মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে। তারা সংসদ বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজের বাস ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকের পরই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিবৃতি প্রচার করা হয়।