বেপরোয়া চোর শাহাব উদ্দীনঃ আড়ালে লাইনম্যান বেলাল ঈদগাঁও থানা পুলিশের হাতে চোরাই মোটর সাইকেল জব্দঃ আটক ২

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২১
print news

বার্তাপরিবেশক


কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ মোটর সাইকেল চোরকে আটক করে। পরে তাদের তথ্যমতে চোরাইকৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জানা যায়, ঈদগাঁও খোদাইবাড়ি এলাকার মৃত মোঃ হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দীনের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলায় একটি মোটর সাইকেল সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে জেলার বাইরে গিয়ে বিক্রি করে। পাশাপাশি অন্য জেলায় চুরি হওয়া মোটর সাইকেল কক্সবাজার জেলায় এনে শাহাব উদ্দীন গং এর মাধ্যমে বিক্রি করে। শাহাব উদ্দীনের মাধ্যমে এ ধরনের অহরহ ঘটনা ঘটলেও তা ঈদগাঁও লাইনের লাইনম্যান বেলালের তদবিরে চাপা পড়ে যায়।
কারণ মোটর সাইকেল চোর শাহাব উদ্দীন হচ্ছে ওই লাইনম্যান বেলালের ভাই। একটি সুত্র জানান, লাইনম্যান বেলাল মুখোশের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছ নানা অপরাধে। যা সে নিজে আড়ালে থেকে তার ভাই শাহাব উদ্দীনকে দিয়ে পরিচালনা করেন। শাহাব উদ্দীন সিন্ডিকেটের ছায়া হিসাবে কাজ করেন লাইনম্যান বেলাল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, বেলালের লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। তিনি বলেন, বেলালের বিষয়ে তদন্ত করলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ৫ জুলাই ঢাকা সাভার হইতে চোরাই যাওয়া সুজুকি ইন্ট্রুডার ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল ঈদগাঁও বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য খোদাইবাড়ি এলাকার মনির আহমদের ছেলে মিজান (২৫), ভিলেজার পাড়ার মৃত হোছনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বরমাইয়া জাহেদ (৩০), হাজি পাড়ার মৃত হাজী বশরত আলীর ছেলে নুরুল হক ও খোদাইবাড়ি এলাকার মৃত মোঃ হোছনের ছেলে শাহাবুদ্দিন মটর সাইকেলটি বিক্রির জন্য অবস্থান করিতেছে। গোপন সংবাদে মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য অভিযানে যায় ঈদগাঁও থানা পুলিশ।

এ সময় হাজি পাড়ার মৃত হাজী বশরত আলীর ছেলে নুরুল হক ও খোদাইবাড়ি এলাকার মৃত মোঃ হোছনের ছেলে শাহাবুদ্দিনকে আটক করতে পারলেও অপরাপর আসামীরা পালিয়ে যায়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ৩১ আগষ্ট বেলা সোয়া ২টার দিকে অপর এক অভিযানের মাধ্যমে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন পলাতক আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।