রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে অকস্মাৎ চুরি কিংবা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে পছন্দের স্মার্টফোনটি। আবার হাত থেকে পড়ে ভেঙেও যাচ্ছে। নিকৃষ্ট হওয়ায় ফোন মেরামত সময়সাপেক্ষ। সঙ্গে খরচ তো আছেই। বড় পরিসরে সরকারের স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য বিমা সুবিধা নিয়ে আসছে বেসরকারি একটি র্স্টাটআপ প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চিকিৎসা দিতে রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন উৎপাদকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ডিলারের শোরুম থেকে হ্যান্ডসেট কিনলে বিক্রেতা ক্রেতাকে বিমা একটুখানি করবে। গ্রাহক আগ্রহী হলে বিমা ইন্সটিটিউটের সাইটে গিয়ে গ্রাহকের নাম, হ্যান্ডসেটের মডেল, আইএমইআই ও ফোন নম্বর কর্তৃক সাবমিট করলে দুই মিনিটের মধ্যে বিমা শুরু হবে।
ইনসতা শিওরের এমডি রাফেল কবীর বলেন, প্রচারণা হতে শুরু করে ক্রিডিট কার্ড-ডেভিড কার্ড যে কোনোভাবেই কস্টমার পেমেন্ট করতে পারবেন। বিমা শুরু হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইলে মেসেজ যাবে।
এক লাখ টাকার হ্যান্ডসেটে বিমা খরচা হবে ৫ হাজার টাকা। বিমা চালুর পর ৩০ দিন পর্যন্ত বিমা দাবি করতে পারবেন না। অতঃপর ফোন নষ্ট হলে ক্রেতা যে শোরুম হতে হ্যান্ডসেটটি কিনেছেন সেখানে নিয়ে যেতে হবে। ক্রেতার মুঠোফোন মেরামত করে দেবে, সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি। তিন মাসের মধ্যে ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে পুরো অর্থ পাবেন। প্রাথমিকভাবে এ বিমা হবে এক বছরমেয়াদি।
রাফেল কবীর বলেন, চলমান মাসের অবসান দিকে এটি বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে বলে চাওয়া করছি। শুরুতে এ সুবিধার আওতায় শুধুমাত্র রাজধানী থাকছে।
দেশের হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ডগা পাঁচটি ইন্সটিটিউট ইতোমধ্যে এ সেবা নিতে আগ্রহ পাবলিশ করেছে।
ফেয়ার গ্রুপের অতুলনীয় মার্কেটিং কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পাল্টানো আসবে। অনেকেই এই ধরনের বিমার কর্তৃক যন্ত্র কিনতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটাকে যদি দীর্ঘমেয়াদি করা যায়, কিন্তু এটা গ্রাহকদের জন্য লাভজনক হবে বলে মনে করি।
দেশে ইতোমধ্যে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বিমা অ্যাডভান্টেজ আরম্ভ করেছে আলট্রুইস্ট টেকনোলজি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এই সুবিধা শুধু জিপির ইউজাররা পাবেন।
সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম
©Vorercoxsbazar.com