Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
শামশুল আলম শ্রাবণ:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ও খরুলিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ২টি ড্রেজার মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১১ টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বাংলাবাজার আইডিয়াল ইন্সটিটিউটের পাশে ছমুদা ব্রিজসংলগ্ন এলাকা ও খরুলিয়া কোনারপাড়া গ্রামে এ অভিযান চালান।
জানা যায়, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ছমুদা ব্রিজ ব্রিজের অদূরেই ও খরুলিয়া কোনার পাড়া এলাকায় বাঁকখালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। প্রশাসন থেকে কয়েকবার সতর্ক করা হলেও ভ্রুক্ষেপ ছিল না তাদের।
পরে আজ সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নির্দেশে অভিযান চালায় প্রশাসন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ড্রেজার মালিকরা সটকে পড়েন। এ সময় ২টি ড্রেজার সাবমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সদরের পিএমখালী ও ঝিলংজার কয়েকটি স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এতে নদীর দু’পাড় ভেঙ্গে ফসলি জমি সহ বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আরও একাধিক জায়গায় নদীর দু’পাড়ে বসানো ব্লক সরে যাওয়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে ওই স্থানে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এ সময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বাংস করা হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, এসব ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ব্রিজ এবং সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।
নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বন্ধ করা,পরিবর্তন করা, দূষন করা ও অবৈধ দখলের কবলে পড়া কক্সবাজার শহর রক্ষার জরায়ু খ্যাত এ বাকঁখালী নদীটি রক্ষা করতে না পারলে শহরে বসবাসরত জনজীবনে বর্তমানে অত্যন্ত হুমকির মধ্যে রয়েছে। দখল-দূষন রোধ করা না গেলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এ কক্সবাজার শহর মন্তব্য করেন নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামশুল আলম শ্রাবণ।
এ ছাড়া নদীভাঙন ও ফসলি জমির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এর আগেও বহুবার অভিযান করেছি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।