রশিদ নগরে নারীকে বিবস্ত্র করে চোখ উপড়ে পেলার চেষ্টা; ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ২:২৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৩
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:

কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগরে রাবেয়া বসরি নামে এক নারীকে বিবস্ত্র করে পেঠানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় ব্যাপক নির্যাতন করে তার চোখ উপড়ে পেলার চেষ্টা করে পাষন্ডরা। রশিদ নগরের আলোচিত নজিব ও শফিক বাহিনীর নেতৃত্বে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও ধরা ছোয়ার বাইরে মামলার অন্যতম আসামী শফিক বাহিনীর শফিক। ঘটনাটি ঘটেছে গত জুন মাসে ২ তারিখে রাত ১০ টায়। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারের রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গুরুতর আহত রাবেয়া বসরি।

এ ঘটনায় এক সপ্তাহধরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাবেয়া বসরি ও তার সন্তান জিয়াবুল রহমান আরফাত। মামলা হবার পরও মূল আসামী ও পরিকল্পনাকারী শফিককে আটক না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অথচ এলাকার মাঝে প্রতিনিয়ত বীরদপে ঘুরিয়ে বেড়ান শফিক।

রামুর রশিদ নগর এলাকার বহু অপকর্মের হুতো মুজিব ও শফিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রায় এলাকার মানুষ। ভোক্তভোগী রাবেয়া বসরী এই মামলা হবার পর প্রায় সময় হত্যার হুমকি ও মামলা প্রত্যাহারের ভয় দেখাচ্ছেন শফিক ও তার বাহিনী। এই ঘটনায় শুধু শফিক নয় তার অন্যান্য ভাই শাহানূর, নজিবুল আলমও জড়িত।

রশিদ নগর ইউনিয়নের উত্তর নাছিরা পাড়া ৬নং ওয়ার্ড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ১৫ জুন হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও চুরির অভিযোগে ৬ জনের নাম মামলা দায়ের করেন রাবেয়া। যার মামলা নং-২৮/৩০৩।

পুরো রশিদ নগরজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

মা ও ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও বিব্রস্ত করার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদী রাবেয়ার অভিযোগ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে ছুটি নিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন।
তিনি আশংকা করছেন, ন্যায় বিচার পেতে হলে অবশ্যই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলাতে হবে।

না হয় মারধরের মূল পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী ফার পেয়ে যাবেন। তারা আইনের দোয়ায় দিয়ে দেশের বাইরেও যেতে পারেন। রাবেয়া ও তার ছেলে আরফাতের দাবী, এই নির্মম ঘটনাটি নজরে এনে জেলার সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনবে শফিক বাহিনীর শফিককে।

এদিকে বিয়ষটি নিয়ে কক্সবাজার রামুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল হোসেন জানান, আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।