বাংলাদেশে অবস্থিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগামীর ভ্যবিষ্যত-টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আরকান আর্মির জাতিগত সংঘাতের প্রেক্ষিতে চলমান অস্থিরতায় রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ সরকারের কেমন ভূমিকা হতে পারে এসব বিষয় নিয়ে ঢাকাস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“বাংলাদেশে রোহিঙ্গা : একটি টেকসই ভবিষ্যতের সন্ধানে” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টার এবং সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ইউএনএইচসিআর।
সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টায় সেমিনারটি শুরু হয়। সেমিনারে দেশি-বিদেশি কুটনৈতিকসহ শিক্ষক-গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। ছয় পর্বের সেমিনারে শেষ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম্বাসেডর তৌহিদ হোসেন।
জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর আলী আশরাফ প্যানেল প্রশ্নের উত্তরে এম্বাসেডর তৌহিদ হোসেন বলেন,রোহিঙ্গা সমস্যা সংকট বাংলাদেশের একার নই এবং এই নিপিড়ীত জনগোষ্ঠীর খরচ মেটানোর দায়িত্ব বিশ্বের সকল দেশের। তিনি বলেন,আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিষয়ে বৃহত্তর রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর ভূমিকা সহ নানান প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন।
এ ছাড়া সেমিনারের প্রথমার্ধের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন , বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাইরিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান। তিনি রোহিঙ্গা সংকট ও টেকসই সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনী কর্মতৎপরতা এবং কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের সামগ্রিক পরিস্থিতির বিবরণ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়াজ আহমেদ খান, পিএইচডি এবং সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির ডিজি ইকবাল আহমদ।
সেমিনারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলোচকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারে ধারাবাহিকভাবে প্রথম সেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর এ এস এম আলি আশরাফ (পিএইচডি) এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বর্তমান পরিস্থিতির উপর আলোচনা করেন ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এন্থনি ওয়্যার (পিএইচডি), ইউএনএইচসিআর’রের বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সামবুল রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) মামুন আহমদ- পিএইচডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (মিয়ানমার উইং) ডিজি ফোরদৌসি শাহরিয়ার।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর রাশেদ উজ জামান (পিএইচডি), অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব উল-হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর নাসির উদ্দিন (পিএইচডি), জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাহাব এনাম খান (পিএইচডি)।
এ ছাড়া পরবর্তী সেশনে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের গ্রাজুয়েট খন্দকার তাহমিদ রিজওয়ান, ইউএনএইচসিআর’রের বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ এসিস্ট্যান্ট প্রোটেকশন অফিসার সালেহ মোহাম্মদ সাফি, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর লাইলুফার ইয়াসমিন (পিএইচডি), ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর রোজানা রশিদ (পিএইচডি),
জার্মানের বোন ইউনিভার্সিটির সিনিয়র গবেষক বেনজামিন এটজোল্ট (পিএইচডি)।
অন্যানদের মধ্যে আলোচনা করেন, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস (পিএইচডি), ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট নুর নাহার সুকান্না, এম্বাসাডর রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ওবায়দুল হক ও মুহাম্মদ আতিক রহমান (পিএইচডি), ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ( ইউসিএল) এর রিস্ক এন্ড ডিজাস্টার রিডাকশন বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর বায়িজ আহমেদ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সায়েমা আহমেদ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আলি সিদ্দিক, জার্মানির রিসার্চার আনসার আনাস (পিএইচডি), জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বোকাম এর গবেষণা সহযোগী আবু ফয়সাল মোহাম্মদ খালেদ,
ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের গবেষণা সহযোগী জিএম আরিফুজ্জামান ও সালমা সোনিয়া।
মন্তব্য করুন