বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে ‘পাগল’ বলে কটূক্তি করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কক্সবাজারের ৯টি পরিবেশবাদী ও একটি মানবাধিকার সংগঠন। কটূক্তিকারি সাংবাদিক, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার অফিস প্রধান শামসুল হক শারেককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক শামসুল হক শারেক তার বক্তব্যকালে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে মাথা নষ্ট ও পাগল বলে আখ্যায়িত করেন। ওই সময় পরিবেশবাদী সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সে সময় জেলা প্রশাসক উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, বাঁকখালী বাঁচাও আন্দোলন, সেইভ দ্যা কক্সবাজার,কক্সবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, জলবায়ু-পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)।
এক যৌথ বিবৃতিতে পরিবাবাদী সংগঠন গুলোর নেতারা সাংবাদিক শামসুল হক শারেককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সাথে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা। সরকারি যে কোন সভায় তাকে দাওয়াত না দেয়ারও দাবি জানান।
বিবৃতি দাতাগণ আশঙ্কা করছেন সাংবাদিক শামশুল হক শারেক এর এই ঔদ্যত্বপূর্ণ আচরণ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোদ্ধে গোপন কোন ষড়যন্ত্র কিনা! তারা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্হার মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছেন।
সংগঠন গুলোর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাহমুদুল হাসান নোমান, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম,
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন কক্সবাজার জেলা সভাপতি আবদুর রহমান, বাঁকখালী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীর সিনিয়র সহ সভাপতি সারওয়ার সাঈদ, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সভাপতি আ ন ম শামসুদ্দিন মানিক, সহ-সভাপতি শামসুল আলম শ্রাবণ, সেক্রেটারি কামরুল হাসান মিনার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম।
মন্তব্য করুন