কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী উপজেলা রামুতে আধুনিক, প্রযুক্তিগত ও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ১০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের দাবি উঠেছে।
রামুর জনসাধরনের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার ও উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত ১০০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের এই দাবিটি তুলেন জুলাই আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জায়েদ বিন আরমান।
শনিবার রাতে রামুর ৮০ হাজার মানুষের জন্য আধুনিক হাসপাতাল চেয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন,
কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা আমার প্রানের শহর রামু। এখানে প্রায় ৭৬হাজারেরও অধিক নাগরিকের বসাবাস।
কক্সবাজার থেকে চাকরিয়ার মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালের ৪১কিলোমিটারের মধ্যবর্তী দুরত্বে কোন সরকারি হাসপাতাল না থাকাই নিয়মিত রামু উপজেলার পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও এবং নাইক্ষণছড়ি দুটি উপজেলার প্রায় লক্ষ্যাধীক নাগরিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে ছুটে আসে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
৩১শয্য বিশিষ্ট রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নত প্রযুক্তি এবং পর্যাপ্ত জনবল না থাকাই যেখানে রামুবাসীর সেবা দিতেই নিয়মিত হিমসিম খাচ্ছে সেখানে বার্থী প্রায় লক্ষাধীক মানুষের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া কেমনে সম্ভব?
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঢাকা-কক্সবাজারের ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত হওয়ায় নিয়মিতই সড়ক দূর্ঘটনায় আহত অসংখ্য রোগীরা চিকিৎসার জন্য ছুটে আসে এখানে, অথচ উন্নত তেমন কোন প্রযুক্তি,পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ডাক্তার, ল্যাবসহ উন্নত ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রথমিক চিকিৎসার বাহিরে একটু উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে রেফার করা হয় জেলার সদর হাসপাতালে।
গুরুতর আহত রোগী গুলোর অনেকেই কক্সবাজার সদরে পৌঁছানোর পূর্বের ব্যস্ততম সড়কে জ্যামে আটকেই প্রাণ হারাই।
তাছাড়া দূর্গম পাহাড়ি পথ দিয়ে রামু,ঈদগাহ ও নাইক্ষণছড়ির মানুষকে কক্সবাজার সদরে গিয়ে সেবার নামে হয়রানি থেকে মুক্ত করতে। রামুতে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে, অভিজ্ঞ ডাক্তার ও উন্নত প্রযুক্তিসহ একটি ১০০শয্য বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মান এখন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি বলে মনে করছি।
দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি পূরণে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
মন্তব্য করুন