১৪ দিনের রিমান্ডে সু চি

প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
সুচি ফাইল ফটো

Warning: Undefined array key "mode" in /home/vorercoxb/public_html/wp-content/plugins/sitespeaker-widget/sitespeaker.php on line 13
print news

মিয়ানমারের রাজনৈতিক দল এনএলডির শীর্ষ নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে দেশটির একটি আদালত। এদিকে মিয়ানমার পুলিশ সু চির বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক অভিযোগ করেছেন। খবর এএফপির।

বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের নথিতে বলা হয়েছে অং সান সু চিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হবে।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমদানি-রফতানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস ব্যবহার।

সু চি এখন কোথায় আছেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে খবরে এসেছে, তাকে রাজধানী নেপিডোতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে জমায়েত নিষিদ্ধের আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মিন্টকেও দুই সপ্তাহের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত উইন মিন্ট ও সু চির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এই নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে অভ্যুত্থানকে যুক্তিযুক্ত করার চেষ্টা করছে সেনাপ্রধান মিং অঙ্গ হ্ল্যাংয়ের নেতৃত্বাধীন জান্তা সরকার।

আদালতে সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সু চি যোগাযোগ সরঞ্জাম- ওয়াকিটকি অবৈধভাবে আমদানি ও ব্যবহার করেছেন, যা তার নেপিডোর বাড়িতে পাওয়া গেছে।

‘বিবাদী পক্ষকে জেরা করার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি সহায়তা নেয়া পর্যন্ত’ সু চিকে হেফাজতে রাখা হবে বলে পুলিশের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা আইনের অধীনে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি মোটরগাড়ির বহর নিয়ে সমর্থকের সাথে দেখা করেছেন।

এদিকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদও দেখা যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তারা কালো ও লাল ব্যাজ ধারণ করেছেন।